কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

৩০ ঘনফুট কাঠ জব্দ...

উখিয়ায় অবৈধ পাঁচটি স’মিল উচ্ছেদ

কক্সবাজারের উখিয়ায় অবৈধ স’মিলে বন্যপ্রজাতির কাঠ চিরাই থেমে নেই৷ প্রতিনিয়ত চলছে বনজ গামার, সেগুন কাঠ সহ বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ চিরাই কার্যক্রম।

রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করে ৫টি অবৈধ স’মিল ও ৩০ ঘনফুট কাঠ জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ। অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) সালেহ আহমদ।

উপজেলার টাইপালং,থাইংখালী ও পালংখালী এলাকায় বেশ কয়েকটি অবৈধ স’মিলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে কয়েকজন ব্যবসায়ী। ওই এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৫টি স’মিল উচ্ছেদ করে কাঠ জব্দ করা হয়। স’মিল মালিকরা হলেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জাহিদ, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ ইদ্রিস ও মকবুল হোসেন।

পালংখালী এলাকার জাহিদের স’মিল চলছে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে। তবে অবৈধভাবে স্থাপিত বা লাইসেন্স বিহীন করাত কলে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান না করা এবং যে সকল লাইসেন্স বিহীন করাত কলে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে তা অবিলম্বে বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ৭ নভেম্বর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করলেও তা অমান্য করে অবৈধভাবে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে চলছে স’মিলের কাঠ চিরাই কার্যক্রম। রবিবার স’মিলটি উচ্ছেদ করে প্রশাসন।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন, “উপজেলার টাইপালং,মোছারখোলা, থাইংখালী ও পালংখালীতে অভিযান পরিচালনা করে ৫টি অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ করা হয়। স’মিল মালিকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত বন মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সালেহ আহমদ বলেন,”গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে বনজ কাঠ চিরাই কাজে ব্যবহৃত ৫টি স’মিল উচ্ছেদ ও ৩০ ঘনফুট কাঠ জব্দ করা হয়। টাইপালং, মোছারখোলা, থাইংখালী ও পালংখালী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। স’মিল মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে উপজেলা প্রশাসন।

পাঠকের মতামত: